ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরতার সব সীমা লঙ্ঘন করছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সেনাবাহিনী। অধিকৃত পশ্চিমতীরের হেব্রন শহরে মঙ্গলবার ক্যান্সার আক্রান্ত সন্তানের সামনে থেকে হিজাজি আল-কাশেমি (৩৮) নামে এক ফিলিস্তিনিকে ধরে নিয়ে গেছে ইসরাইলি বাহিনী। খবর মিডলইস্ট আইয়ের। হিজাজি আল-কাশেমির স্ত্রী বয়ান আল-নাতশি গণমাধ্যমকে জানান, কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়ি ঘেরাও করে ফেলে ইসরাইলি বাহিনী। এর পর তারা দরজায় লাথি মেরে ঘরে ঢুকে চার সন্তানের জনক তার স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। এ সময় তার ক্যান্সার আক্রান্ত সন্তানকে দেখেও মন গলেনি বর্বর ইসরাইলি বাহিনীর।

অসুস্থ শিশুটির সামনে তার বাবাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় তারা। এ সময় আরও কয়েকটি ফিলিস্তিনি বাড়িতে হানা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে বিনাকারণে ধরে নিয়ে গেছে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের কেন আটক করে নিয়ে গেছে, এ ব্যাপারে কোনো কিছুই ফিলিস্তিনিদের পরিবারকে জানায়নি ইসরাইল। এদিকে বাবাকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় ক্যান্সার আক্রান্ত ফিলিস্তিনি শিশুটির চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। বাবার আটকের পরের দিন তার ক্যামো থেরাপি দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। জেরুজালেমের পাশে আল-আজারিয়া এলাকায় তাদের যে দোকান ছিল, তা-ও দখল করে নিয়ে গেছে ইসরাইল।

গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার আগে বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত ১১ বছরের ছেলে আহমেদের কপালে হিজাজি আল-কাশেমির চুমু দেওয়ার আবেগঘন দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আমমেদ বলে, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আমি ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ ঘরের দরজায় প্রচণ্ড শব্দে আমি লাফ দিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠি। এ সময় আমার বাবা দরজা খুলে দিলে দ্রুত ভেতরে প্রবেশ করে ইসরাইলি বাহিনী। আমাদের কোনো কথা না শুনে তারা বিনাকারণে বাবাকে ধরে নিয়ে গেছে। আমরা বাবার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছি, আল্লাহ যেন তাকে দ্রুত আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।